ভিসা ছাড়াই যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন এমন বিদেশিদের খুব শিগগিরই ভ্রমণের অনুমোদন পাওয়ার আগে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট, ইমেইল তথ্য এবং বিস্তৃত পারিবারিক ইতিহাসসহ নানা তথ্য হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগে জমা দিতে হতে পারে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা (সিবিপি) নির্বাচিত কিছু দেশের সে সব ভ্রমণকারীর গত পাঁচ বছরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম–সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব করছে, যাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে ভিসা প্রয়োজন হয় না। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী ও অভিবাসীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ঘোষণাটি ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া তিন ডজনেরও বেশি দেশের ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইএসটিএ)-তে তথ্য জমা দেন। এই ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনিং করে তাদের ভ্রমণ অনুমোদন দেয়। ভিসা আবেদনকারীদের মতো তাদের সাধারণত দূতাবাস বা কনস্যুলেটে সাক্ষাৎকারে যেতে হয় না।
ডিএইচএস এই কর্মসূচি পরিচালনা করে, যা বর্তমানে ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় ৪০টি দেশের নাগরিকদের পর্যটন বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তিন মাসের জন্য ভিসাবিহীনভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, সিবিপি আবেদনকারীদের গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত টেলিফোন নম্বর, গত দশ বছরে ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা, ইলেকট্রনিকভাবে জমা দেওয়া ছবিগুলোর মেটাডেটা, এবং আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক তথ্য যেমন জন্মস্থান ও টেলিফোন নম্বর চাওয়া শুরু করবে।
ইএসটিএ আবেদনপত্র বর্তমানে সীমিত কিছু তথ্য চায়, যেমন বাবা–মায়ের নাম এবং আবেদনকারীর বর্তমান ইমেইল ঠিকানা। এই পরিবর্তন কার্যকর হওয়ার আগে জনসাধারণের ৬০ দিন মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বিধিনিষেধ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে সিবিপি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এই ঘোষণা থেকে জানা যায়নি প্রশাসন ঠিক কী ধরনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো থেকে খুঁজছে, কিংবা কেন এত অতিরিক্ত তথ্য চাইছে। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারি মাসে স্বাক্ষর করা নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী নেওয়া পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধে আগত ব্যক্তিদের বাড়তি স্ক্রিনিং করা।
ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে না থাকা দেশগুলোর ভ্রমণকারীরা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্য জমা দিতে বাধ্য এই নীতি প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময় চালু হয় এবং ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলেও বহাল ছিল। কিন্তু ভিসা ওয়েভার দেশগুলোর নাগরিকদের এ বাধ্যবাধকতা ছিল না।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এবং ইতোমধ্যেই দেশে অবস্থানরত উভয় শ্রেণির অভিবাসী ও ভ্রমণকারীর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। কর্মকর্তারা ভিসা নিয়ম কঠোর করে দিয়েছেন; এখন আবেদনকারীদের সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ‘পাবলিক’ করতে হবে, যাতে কর্তৃপক্ষ সহজেই সেগুলো পরীক্ষা করে আপত্তিকর বা নেতিবাচক তথ্য খুঁজে পেতে পারে। অ্যাকাউন্ট ‘পাবলিক’ করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিসা বাতিলের কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে।
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) এখন গ্রিন কার্ডসহ বিভিন্ন সুবিধার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করে তারা 'বিরোধী–আমেরিকান, সন্ত্রাসবাদী বা ইহুদিবিরোধী মতাদর্শকে সমর্থন, প্রচার বা অনুকরণ' করেছেন কি না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই–বাছাই জোরদারের এই উদ্যোগে অভিবাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা–অধিকার আন্দোলনকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আসলে প্রশাসন কী খুঁজছে, এবং এই পদক্ষেপগুলো প্রশাসনের সমালোচকদের লক্ষ্য করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ফেডারেল রেজিস্টারে প্রকাশিত এক নোটিশে বলা হয়েছে, শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা সংস্থা (সিবিপি) নির্বাচিত কিছু দেশের সে সব ভ্রমণকারীর গত পাঁচ বছরের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম–সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব করছে, যাদের যুক্তরাষ্ট্রে আসতে ভিসা প্রয়োজন হয় না। আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী ও অভিবাসীদের ওপর নজরদারি বাড়িয়ে দিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ঘোষণাটি ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে অংশ নেওয়া তিন ডজনেরও বেশি দেশের ভ্রমণকারীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যারা যুক্তরাষ্ট্র সফরের জন্য ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথরাইজেশন (ইএসটিএ)-তে তথ্য জমা দেন। এই ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ক্রিনিং করে তাদের ভ্রমণ অনুমোদন দেয়। ভিসা আবেদনকারীদের মতো তাদের সাধারণত দূতাবাস বা কনস্যুলেটে সাক্ষাৎকারে যেতে হয় না।
ডিএইচএস এই কর্মসূচি পরিচালনা করে, যা বর্তমানে ইউরোপ ও এশিয়ার প্রায় ৪০টি দেশের নাগরিকদের পর্যটন বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তিন মাসের জন্য ভিসাবিহীনভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, সিবিপি আবেদনকারীদের গত পাঁচ বছরে ব্যবহৃত টেলিফোন নম্বর, গত দশ বছরে ব্যবহৃত ইমেইল ঠিকানা, ইলেকট্রনিকভাবে জমা দেওয়া ছবিগুলোর মেটাডেটা, এবং আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের ব্যাপক তথ্য যেমন জন্মস্থান ও টেলিফোন নম্বর চাওয়া শুরু করবে।
ইএসটিএ আবেদনপত্র বর্তমানে সীমিত কিছু তথ্য চায়, যেমন বাবা–মায়ের নাম এবং আবেদনকারীর বর্তমান ইমেইল ঠিকানা। এই পরিবর্তন কার্যকর হওয়ার আগে জনসাধারণের ৬০ দিন মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। নতুন বিধিনিষেধ বিষয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে সিবিপি কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাননি।
এই ঘোষণা থেকে জানা যায়নি প্রশাসন ঠিক কী ধরনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টগুলো থেকে খুঁজছে, কিংবা কেন এত অতিরিক্ত তথ্য চাইছে। তবে সংস্থাটি জানিয়েছে, এটি রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জানুয়ারি মাসে স্বাক্ষর করা নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী নেওয়া পদক্ষেপ, যার লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা হুমকি প্রতিরোধে আগত ব্যক্তিদের বাড়তি স্ক্রিনিং করা।
ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে না থাকা দেশগুলোর ভ্রমণকারীরা ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তথ্য জমা দিতে বাধ্য এই নীতি প্রথম ট্রাম্প প্রশাসনের সময় চালু হয় এবং ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলেও বহাল ছিল। কিন্তু ভিসা ওয়েভার দেশগুলোর নাগরিকদের এ বাধ্যবাধকতা ছিল না।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে ইচ্ছুক এবং ইতোমধ্যেই দেশে অবস্থানরত উভয় শ্রেণির অভিবাসী ও ভ্রমণকারীর ওপর নজরদারি বাড়িয়েছে। কর্মকর্তারা ভিসা নিয়ম কঠোর করে দিয়েছেন; এখন আবেদনকারীদের সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট ‘পাবলিক’ করতে হবে, যাতে কর্তৃপক্ষ সহজেই সেগুলো পরীক্ষা করে আপত্তিকর বা নেতিবাচক তথ্য খুঁজে পেতে পারে। অ্যাকাউন্ট ‘পাবলিক’ করতে অস্বীকৃতি জানালে ভিসা বাতিলের কারণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশিকায় উল্লেখ আছে।
মার্কিন নাগরিকত্ব ও অভিবাসন পরিষেবা (ইউএসসিআইএস) এখন গ্রিন কার্ডসহ বিভিন্ন সুবিধার আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে মূল্যায়ন করে তারা 'বিরোধী–আমেরিকান, সন্ত্রাসবাদী বা ইহুদিবিরোধী মতাদর্শকে সমর্থন, প্রচার বা অনুকরণ' করেছেন কি না।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাচাই–বাছাই জোরদারের এই উদ্যোগে অভিবাসন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা–অধিকার আন্দোলনকারীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে আসলে প্রশাসন কী খুঁজছে, এবং এই পদক্ষেপগুলো প্রশাসনের সমালোচকদের লক্ষ্য করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক